‘টাকা চাইলেই বরখাস্ত’- জেলা জজের হুঁশিয়ারি

135600a10

দরিদ্র বিচারপ্রার্থীদের জন্য সরকারি লিগ্যাল এইড। জেলা জজশিপের কোনো কর্মচারী যদি লিগ্যাল এইড দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দাবি করেন ও এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সাথে সাথে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (টারমিনেট) করা হবে।

জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিচারক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্যানেল আইনজীবীদের সমন্বয়ে ইউএসএইড, জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রামের অর্থায়নে একটি ‘কৌশলগত সংলাপ’  অনুষ্ঠানে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ জেলা জজশিপ কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এ হুঁশিয়ারি দেন।

ঢাকার জেলা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে আজ সোমবার বাংলাদেশ সরকারি লিগ্যাল এইড আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান।

এস এম কুদ্দুস জামান বলেন, ‘দরিদ্র বিচারপ্রার্থীদের জন্য লিগ্যাল এইড। ওই লিগ্যাল এইড দিতে গিয়ে যদি জজশিপের কোনো কর্মচারী টাকা দাবি করেন আর এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আসে তাহলে আমি সাথে সাথে ওই কর্মচারীকে চাকরি থেকে টারমিনেট করব।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যকে প্রত্যেকের জায়গায় থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে এই মহতী উদ্যোগ আরো সফল হবে।’ এ ছাড়া লিগ্যাল এইড’র প্যানেল আইনজীবীদের আরো আন্তরিক হয়ে মামলা পরিচালনার অনুরোধ করেন তিনি।

সভায় বক্তব্য প্রদানকালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক ও জ্যেষ্ঠ জেলা জজ জাফরোল হাসান বলেন, ‘সারা দেশে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্যানেল আইনজীবীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

সভায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা রাজেশ চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রণীত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’র ফলে সারা বাংলাদেশে বিনামূল্যে আইনি সেবা ছড়িয়ে পড়ছে যার অন্যতম বড় অংশীদার ঢাকা জেলার লিগ্যাল এইড কমিটি।’

সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ বজলুর রহমান, বেগম কামরুন্নাহার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন বক্তব্য দেন। এতে জেলা আইনজীবী সমিতির অন্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।