কাতারের কাছে ১০ লাখ ডলার চেয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী

1526649616_17

কাতার যাতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সুদৃষ্টি’ পেতে পারে সেজন্য দেশটির কাছে ১০ লাখ ডলার চেয়েছিলেন তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে এই অর্থ চাওয়া হয়। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স।

তবে কাতার প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। বিষয়টি সম্পর্কে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অবহিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্পোর্ট ট্রিনিটি নামক কোম্পানির, যার সহ-মালিক কাতারি বিনিয়োগকারী আহমেদ আল-রুমাইহি, মুখপাত্র রবার্ট সিয়েগফ্রাইড বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, কোহেন রুমাইহির সঙ্গে এক বৈঠকে ১০ লাখ ডলার চান। রুমাইহি তখন কাতারি ফান্ডের বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান ছিলেন।

তবে রবার্ট সিয়েগফ্রাইড বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো খাতে কাতারের সম্ভাব্য বিনিয়োগ হিসেবে ওই অর্থ চাওয়া হয়েছে। এর সাথে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

রয়টার্স বলছে, কোহেনের মোক্তার স্টিফেন রিয়ানের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

আল-রুমাইহি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ডিসেম্বরের শুরুতে নিউ ইয়র্কের পেনিনসুলা হোটেলে কোহেন ওই অর্থ চান। এরপর ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে এক বৈঠকের ফাঁকে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়। ওই বৈঠকে রুমাইহি ছিলেন কাতার প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য। যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আল-থানি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেশ কিছু মার্কিন ও ইউরোপিয়ান কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, মাইকেল কোহেনকে তাদের পক্ষ থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাতারের কাছে অর্থ দাবির বিষয়টিও প্রকাশ হলো। প্রায় এক দশক ধরে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং স্বঘোষিত ‘মধ্যাস্থতাকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কোহেন।

গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস এজি বলেছে, তারা মাইকেল কোহেনকে ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছে। মার্কিন টেলিকমিউকেশন কোম্পানি এটি অ্যান্ড টি ইনকরপোরেশন বলেছে, তারা ছয় লাখ ডলার দিয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দেড় লাখ ডলার দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।